নির্বাণা
ভিন্ন চোখের আয়নায়— নিজেকে পুড়ে করি ছাই।
কী অপার বিশ্বাসেই... বাঁধি সোনার সংসার! তবু—
কোন্ সুদূরে কোথায়, তিনি? ‘আমি’ই কি যোগসূত্র?
প্রতি সংকোচনে... বিপ্রতীপ সম্প্রসারণের... আস্তিক
প্লটে... প্লটে ক্ষুদ্র-তির্যক আলোর পরিণত সংস্করণ।
যদিও— প্রতি পরিচ্ছেদে এঁকে যাচ্ছি নির্বাণ-নির্বাণ!
কী অপার বিশ্বাসেই... বাঁধি সোনার সংসার! তবু—
কোন্ সুদূরে কোথায়, তিনি? ‘আমি’ই কি যোগসূত্র?
প্রতি সংকোচনে... বিপ্রতীপ সম্প্রসারণের... আস্তিক
প্লটে... প্লটে ক্ষুদ্র-তির্যক আলোর পরিণত সংস্করণ।
যদিও— প্রতি পরিচ্ছেদে এঁকে যাচ্ছি নির্বাণ-নির্বাণ!
স্পৃহা
পিঙ্গল সন্ধ্যায়— তারারা বখে যায়
দীর্ঘজ্যোৎস্নার মাদল-রাত;
নির্ঝর-জিঞ্জির— পরেছে কতিপয়
মন্দ্র-সৈকত হিয়ায় মাত।
আত্মায় তুরপুন! খুঁচিয়ে কুপোকাত
শূন্য চারদিক বিলোল চাঁদ;
জ্বলজ্বল উজ্জ্বল— যে-টুকু ধরণীর
প্রার্থনায় তার বিনয় ফাঁদ।
প্রাঞ্জল প্রাণটায়! কে ছিল সিঁথানায়
মুচছি... নির্ঘুম রাতের জ্বর;
ফিরবার পথ নাই— মরমে খুঁজি চল
অন্ধ রাত্রির— নিশাত ভর।
পরশ্রীময়ূখ
ঈর্ষা ও হিংসার জন্য কবিতার বৃত্ত তৈরী
তুমি ব্যাস, তির-ফলা ত্রিফলায় তিরতির
সন্ন্যাসী চার জ্যা
আরণ্যক কেন্দ্রে
বিগত জ্যা আবদ্ধ করছি তিরাটপাতায়।
চিড়িয়া
ভাবছি— মিরপুর যাব! না, পাহাড়? না, পরাসমুদ্রসৈকত?
কিন্তু...
কোথায় যাব? মানুষের কাছাকাছি চিড়িয়াখানাটাই বেশ!
চলো যাই—
পশুত্ব ফেলে যেতে না পারলে...অন্তত চিড়িয়া হয়ে যাও।
ওরাও জানুক—
মানুষ মূলত মুখোশের অন্তরালে এক আদি চিড়িয়াখানা।
ভ্রূণ
তোমার দরোজা খোলো--- নতজানু ক্লান্ত ফুল!
অবিভক্ত অপেক্ষায়---
বাহিরের থেকে... ভেতরের সঙ্গীহীনের প্রতীক্ষা।
কোন অলক্ষ্য ছায়ায়--- সিঁধকাঠিটি খরচ হলো
মায়ামৃগ জোছনার
কুহেড়িকা শ্রাবণ-সন্ধ্যায়। পিছনও কি সামনের
তর্কাতীত ছল, নাকি
সামনেই পিছনের খুনে খুনির দোপাট্টা বিউগল।
আমায় নেবে কি পথ--- যেখানে হারিয়ে গ্যাছে
রিট্রিট সুরের...
বেখেয়ালিগম্ভীরায় সমবেত নৈঃশব্দ্যদহন, বন্ধু।
আর কত! কোলাহল! বাহিরে মেঘমল্লার সুর---
ভেতরে দীপকরাগ বেজেই চলেছে... আগামীর।
0 মন্তব্যসমূহ