নিবারণ চক্রবর্তীর দুইটি কবিতা



কেটলির ভেতর সরোবর


কাপ থেকে উড়ে যাচ্ছে বিষন্নতা—অমায়িক ভঙ্গিতে।

ঠোঁট স্পর্শ পাচ্ছে বিষন্নদেবীর—অলকানন্দার।

এখানে আছে কোনো সুন্দরী নার্সের শুশ্রূষা মিশ্রিত ছোঁয়া—দৈবহাত।

কেটলি থেকে উড়ে যাচ্ছে কিশোরীর শাড়ির লাল পাড়—শিল্পের নিগুঢ়তা।

কেটলিতে ভেসে উঠছে সর—দুধের সরোবর।

এগিয়ে আসছে দেবদূত —ওয়েটার

হাতে নিয়ে প্রশান্তির বাহার।

ভাবলেশহীন কবি দেখছে কেটলিতে বিষন্ন সরোবর।



পুঁজিবাদ


সামান্য সাংসারিক টানাপোড়া সহ্য করতে না পেরে,ভেঙে গেছে কতো বিশ্বাসী বধূর ঘর।


কতো নববধূ হেঁটে গেল স্বামীর বুকের ওপর,

যোগান দিতে না পাড়ায় খাদহীন সোনা; উদ্দেশ্য করে ঠিক ‘সোনারগাঁও'। 


তোমাকে যদি বলি এরা সবাই ছিল প্রেমিক-প্রেমিকা,তারপর করতে এসেছিলো ঘর।

যদি বলি এরা ছিল কট্টর প্রেম বিশ্বাসী,জানি তুমি এতোটুকুও বিস্মিত  হবেনা।


তুমি ভালো করেই জানো,এখানে প্রেমের থেকেও পুঁজি অনেক দ্রুত বধূদের পৌছে দিতে পারে খাদহীন সোনায়—‘সোনারগাঁও’।


তবুও এই বিশ্বাস নড়বড়ে হয়ে গেলে এসো বিয়ে করি,নিজেদের বন্দী করি কাবিননামার খাতায়।

তোমাকে পৌছে দেই শয়তানদের প্রেমহীন সেই প্রিয় শহরে,যার নাম—নরকগাঁও।



 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ