পিঠবিলাস বৃষ্টি না, বাগান না, তোমার পিঠে বলপেনের আঁচড়ে শুকনো পল্লব ও বৃদ্ধ ভাঁটপাতা রঙে শৈশবের মনখারাপ নিয়ে জবুথবু করে ঘুমিয়ে আছে সমুন। এমন-কি একটা দৃশ্য ফুটিয়ে দিব না— বৃষ্টি শেষের রাস্তায় লেজ নাড়িয়ে হাঁটছে কুকুর। পানি খাচ্ছে। আর সন্ধ্যার সবুজে সাদা কাতুয়া পরা কন্যার ধীরে হেঁটে চলার ভঙিমায় বৃষ্টি পরবর্তী কারোর মনে প্রেম কৌতূহল। কালো না— ধরা যায় কালোর মধ্যে ছড়িয়ে আছে হলুদ অলকানন্দা ফুল। বিবাহের আগের পরিচয়ে শুয়ে আছে স্ত্রী। আলোর ছিটা ও মৃদুস্বরে অলকানন্দা ফুল ঝরছে মোহাব্বতে। এখানে মনে-মগজে বিষণ্ণ-হর্নি গোল হাওয়া সাইকেলের চাকার মতো ঘুরে ঘুরে বৃক্ষের ফাটল থেকে হাত বের করছে প্রাগুপ্ত কম্বিনেশে। হ্রীমূঢ় পানি মারলে আমার শিশু শরীরে! শরীর প্রভেদ ঘিরে মাছি উড়ছে। ভেজা ক্লিভেজ ও ঊর্মিল বাটাক্ পরিধেয় 'পর পৃথ্বী জ্বর। জলপট্টি নিয়ে পৃথ্বী আয়নার মতো কোমড় পানিতে অবগাহ। পাড়ে হাঁসেরা হ্রীমূঢ়; খোঁয়াড়ের কোনে হর্নি বানে ডানা ঝাপটাচ্ছে আর বিবস্ত্র সমুন অপ্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের পাশে গুটিশুটি হয়ে বিলে ভেসে আছে। শরীরের রন্ধ্রে শ্যাওলার জন্ম ভূঁই। কী হালকা ইয়্যালো, সবুজ শরীর। চমৎকার লাগছে। বিচূর্ণ ট্রি গাছ হেলে গেছে। পাখি মাটির নিকটবর্তী কিচিরমিচির করছে। মানুষ নুয়ে পড়ছে হাত-পা ভেঙে— স্পার্ম ও বারথোলিন রোমাঞ্চ স্বেদ ঘনিষ্ঠ কন্ডমে পিঁপড়ের আনন্দ চিত্রিত। সেটা পড়ে ছিল ঘরের মেজে। এলোমেলো ঘর। জনহীন। তেমনভাবে আমার অবয়বে দারকিনা মাছের আনন্দ ঠুকরাচ্ছে— হে ঘোড়ায় আরোহন অর্ধ-নিমগ্ন বালক, তোমার চোখ-ভরা কার্তুজ, দৃষ্টিপাতে বিচূর্ণ গোল বাউন্ডারি। তারপর আমার পা দিয়ে নিচের দিকে ছড়িয়ে গেছে সাদাকালো মনোহর বৃক্ষ।
0 মন্তব্যসমূহ