এম এ কাদের রিফাতের কবিতা



অনাকাঙ্ক্ষিত সার্কাস


নিয়তি,

দরজাই থাকা মধ্যমণি কড়া।

নিদ্রা নিশ্চয়তা দিতে-দিতে,—

নিশ্চিত করছে মরিচীকার আয়ু।


প্রার্থনা থাকে সেগুন কাঠের যত্ন;

আদতে ফুটতে হয় শিউলির ডগায়।

দু’টো নিঃসংকোচ কাক,

গিলে নেয় যুগল তিমির প্রেম।


কারো নিস্কর জমি,

খোয়া যায়— ভেপসা ক্ষুধায়!

কাঁপা কাঁপা ঘাস ভেঙে;

শাবক হয়ে উঠে বিদ্রোহী।


ঔদার্য বেয়ে নেমে যায় জ্বর;

একগুঁয়ে সোনালী আরশে।

ঘোর করে আসে কৃষকের অঘ্রাণ,

প্রাপ্তি কেবলই কবরের মাটি।


০১ ফেব্রুয়ারী পঁচিশ




বিচ্যুত শয়তান


বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া জরুরী।

পথঘাট,

ল্যাম্পপোস্ট,

জনপদ পেড়িয়ে ঢুকে পড়া কোলাহল থেকে— বিপ্রতীপ বোঝাপড়া।

মাস্তুল হয়ে আসা ঢেউ; আর

আমাদের সমঝোতা থেকে

বিচ্ছিন্ন সিমেট্রি হয়ে আছে মানুষ।

নীরবতায় পড়ানো হাতকড়া,

নগরের ফটক রুখে আছে দূরাবস্থা।

বিচ্ছিন্ন হওয়া জরুরী।

যেমন শিশু ও ধ্বর;

নিষ্পাপ রু— থেকে সমস্ত বেদনা,

কোমল সব শীৎকার।

আদতে ঈশ্বরের দোহাইয়ে

বিচ্ছিন্ন হয়ে আছি আমরা, আমাদের থেকে।

কামড়ে খাচ্ছে অকপটে দায়,

পরিশুদ্ধ রক্তের লোভে।

যুদ্ধের ভার অঙ্কুরিত ফুলের গায়ে;

বস্তুত নরক আমরাই!

ছড়িয়ে আছি উনুন থেকে বিচ্ছিন্ন লাকড়ি হয়ে।


০৯ এপ্রিল পঁচিশ




লোকচক্ষুর আড়ালে টাকাই আমার ঈশ্বর

এই যে আমার যা হয়ে গেলো—

অভাবে মানুষ আমাকে চিনিয়েছে ঈশ্বর

করুণ চোখের নিছে উৎপত্তি হয়েছে জর্ডান নদী

সিন্দুকের খয়েরী শার্টটার বুকে এখনো নির্দয়তায় জ্বলছে উনুন

আমি দীর্ঘদিন দেখতে পারিনি মায়ের মুখ

কোনো রূপ অবশিষ্ট রাখেনি হায়নাগুলো

ধরে নিয়েছিলাম বাবার কবরটা এড়িয়ে গেলেই বেঁচে যাবো

কোনো হাত যে বাকি ছিলো না জিয়ারতে দাঁড়ানোর

তারপর ঈশ্বর ইশারা করলেন মরুই

মনে হলো মৃত্যু এদিকেই

অবশিষ্ট পথে পা ফেলতেই কর্দমাক্ত হয়ে গেলো বিস্তীর্ণ অঞ্চল

যা হবার হলো মানুষেরও

আমি জুটে গেলাম ঈশ্বরের ভাগ্যে

অথচ মানবজাতিকে তারা শুনাচ্ছে আমার অহংকারের ঘোষণা

ভুলে যাচ্ছি কেওড়া বনে পোনামাছ 

হাজার ফুট পাথর ভেঙে দুপুর বেলার ভাত

আদতে তাঁরাই বানিয়েছে উচ্ছিষ্ট আমায়

তাঁরাই টানছে অজুহাত


০১ মে পঁচিশ





 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ