১।
তোমার চোখের মতই—
সরল এই চাইয়া ফেলা;
তবুও চিন্তা হয়— চিন্তা হয়,
পূর্ণতার দিকে চাইয়া ।
যদিও অতো চাওয়া নাই,
যেমন করে চায় মানুষ— বিলাসিতা ।
তাই অপূর্ণতা নিয়া ভাবিনা—
ভাবিনা বলেই সরলতা আঁকি
যদিও জটিল নয় ততটা;
যতটা হয় জ্যামিতিক এ—জীবন ৷
তবুও আমি জানি,
যে সরল রেখা আছে টানা—
তা চলে গেছে তোমার দিকে;
যার কেন্দ্রবিন্দুতেই মূলত আমার অপেক্ষা ।
তাই এমনই ঘনঘোর বৃষ্টিতে,
জ্বরকে উপেক্ষা করে ছুটে যাই;
ছুটে যাই— চোখেমুখে সম্ভাবনার প্রতিচ্ছবি এঁকে
তোমার দিকে ।
১১৩৫আটাশচারকুড়িদুইপাঁচ
২।
খড়ের চালের’পরে নামে যে সফেদ
কুয়াশার শীত আর শিশির—
তার থেকে পোহায় নেওয়া মখমলে তাপ
বাতাসে আঙ্গার কড়ুইয়ের ডালে জ্বলা
কমলারঙের আগুন;
কিংবা তার খুশবুদার ঘ্রাণের মতন তুমি—
আর তোমার বৃক্ষ জীবন...
১২০৯/পাঁচএককুড়িদুইপাঁচ
৩।
চৌদ্দটা বছর
ঝুলে আছো কাঁটাতারে—
শরীর জুড়ে এঁকে নিয়েছো সীমান্ত তুমি;
বলো আমায়, বলো একবার— কে তুমি,
ক্রুশবিদ্ধ যিশুর মতো ঝুলে আছো কেনো
এ তুমি কেমন মাতৃভূমি ?
ফেলানী...
১১৪৬সাতএককুড়িদুইপাঁচ
৪।
হাসতে হাসতে মনের ভুলে কখন যে হারিয়ে ফেলেছি ফুল— এখন আমি ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছি আর হাটছি ৷ হাটতে হাটতে দেখি এই শহরে গাছেরাও যেখানে নিরাপদ নয়; সেখানে ফুল হয়ে জন্মানোর ইচ্ছা আত্মঘাতী । তুমি বললে কেঁদো না— ফুলগুলো যত্নে আছে আমার কাছে ! তবে কি তুমিই আমার ফুলগুলো সব কেড়ে নিলে ? কিজানি এক বেখেয়ালি জীবন আমার তবুও, মনের ভুলে ফুল হারালেও— যত্নে রেখেছি তোমায় ।
৯০৩আটপাঁচকুড়িদুইপাঁচ
৫।
এইসব শীতের রাতে,
জ্বরের ঘোরে,
যতটা ছুটে যাচ্ছি দূরে
কম্বালেবুর বনে—
কতটাই লিখি বলো ?
কতটাই বা বলি !
তারচে যে অধিক
পড়ছে তোমায় মনে ।
যেনো তুমি—
কোমল হাতে বুনে চলেছো পৃথিবীতে
কুয়াশা আর শীত,
আমার কাবু হওয়া জ্বর
মজদুর ঋদয়
করুণ সুরে গাইছে গীত ।
শোনো,
একটা গানের কথা বলি
গানটা ভীষণ স্যাড—
জ্বরের রাতে পোড়ছে ঋদয়
লাগছে ভীষণ ম্যাড ।
১০৯পাঁচবারোকুড়িদুইচার
৬।
রাস্তা পেরুলেই বন
বনের শেষে দাঁড়িয়ে থাকে
বিষণ্ণ এক মন ।
অতঃপর, তোমার চলে যাওয়া
দেখে ফেলে পাঁচ জোড়া চোখ;
একটা সমুদ্র— পাড়ের আশে
ঢেউ বুনে যায় রোজ ।
ফসলের ন্যায় আজও যারা
ঋদয়ে ফলিয়ে যাচ্ছে
প্রেমের বুনন ।
এই দেখো, রাস্তা পেরুলেই বন
বনের শেষে দাঁড়িয়ে আছে
বিষণ্ণ এক মন ।
শুনো,
একটা ঢেউ-এর কথা বলি
জানো ঢেউ'টা বড্ড আপন;
তোমার নাকি জ্বর হয়েছে ?
রু— মিস করছি ভীষণ ৷
১২১৫আটছয়কুড়িদুইচার
0 মন্তব্যসমূহ