কয়েকটি কবিতা ।। দৃষ্টি দিজা


 


ছটফটে লুলাবাই

মানুষ ঘুমাতে পারছে না

ফিজিক্সের ছেলেমেয়েরা শক্তিতে মিশে যেতে চেয়ে সুইসাইড করার পর

কিংবা আগে

মানুষ নিজের পাছায় নিজে লুলাবাই চাপড় দিতে দিতে ঘুমিয়ে পড়তে চেয়ে

পা ঘষটে ঘষটে


মানুষ তাঁর মাকে দুনিয়া কিনে দিতে পারার প্রমাণ দিতে চেয়ে আর

বাবার ফেলে রাখা পাতলা হাগু আর উন্মাদনাও করতে চেয়ে পরিষ্কার

মেজাজ পরিবর্তনের আগে আগে,

এবার মরো মরো মরে যাও সবে বলার আগে আগে,

মরে যেতে না পেরে পেরে,


মানুষের চোখজোড় wonky

নীটশের ন্যায়।

টুকরিতে কাঁঠাল পাতা থুতে থুতে

ট্রাঙ্কের কাগজে চম্পু উইয়ে খেয়ে খেয়ে

প্রকাশকের কাছে না পৌঁছাতে পেরে

মানুষের প্রকাশক ঘুমিয়ে থাকেন ন্যাংটো অজ্ঞাত অজ্ঞতায়

সাদা সমান্তরাল ভাতের উপর শুধু

যেন ছুঁতে না হয় আর কোনো পেরেশান

কোনো ঈর্ষা।

মানুষ আর ঘুমাতে পারছে না

নয়তো ঘুম ভেঙে গেলে হন্তদন্তকাল যাবৎ  ফোন ঘাঁটাঘাঁটি করেছে

মানুষ

ঘুমাতে পারছে না

আবার পা দিয়ে পা ঘষটে ঘষটে আবার মানুষ খারিজ হওয়া

ঘুমিয়ে পড়ার চেষ্টা করে।

০৫.০৪.২৩

________


যত অক্ষমতা আটকাতে জ্ঞানের কার্টেইন ধরছিলাম

দৃষ্টির উপরে,

কেন কেউ ডাকলো না,

কেন কেউ কাউকে বলেনি, ডাকো,

কেন দু’জনে দু’শ গজ দূরে কানাকানি করছিল

কেন এই দিকে তাকিয়েই

কেন আমাকে দেখেনি কেউ

তবুও?

কেন ওজন বেড়ে বেড়ে এতো বোঝা হলাম

কেন তবু মহাকালের কাছে ফুঁৎকারে উড়ে যাওয়া পালক?

কেন কষ্টে থাকার আনন্দে অভ্যাস হয়ে গেল প্লেনেট

কেন বেঁচে গেলাম

কেন আমি মরতে চাইলাম

কেন চাইলাম না-ই বা


০২.০১.২৪

____


আমি এক অসুস্থ মহিলা

আমার কলিজা নয় মস্তিষ্কটা পঁচে গেছে টের পাই

এখনো অবধি।

টের পেলে যদিও পঁচে না

বুদ্ধিজীবী হওয়াতে সত্যটা তবু টের পাই

আমার মস্তিষ্কটা তবু পঁচে গেছে

এবং মৃত্যুর জন্যও মাঝেমধ্যে প্রস্তুত

আমি কোথাও কোনো সুস্থ মানুষ দেখতে পাচ্ছি না আর

সব মুখমণ্ডল সন্দেহ তৈরি করে- মানুষটা খারাপই হবে শেষ পর্যন্ত

আমার মস্তিস্কটা, আমার চোখটাও পঁচে গেছে

আমার পঁচে গেছে অনুভূতিও

মিরর মিরর মিররও বলে, খারাপই হবে শেষপর্যন্ত


২৪.১১.২৩

_______


আজকে সালের বড় রাত্র

আজকে ক্রিসমাস

আজকে নিউ ইয়ার

আজকে বড়দিন

আজকে ভূতচতুর্দশী

তে বোমে মরা ছোট লাশগুলো ত্রস্ত পায়ে

আজকে দীপাবলি

আজকে বামুনের নূতন গুহ্যদেশে মৃত্যুভয়

আজকে আজ আর আগামীকাল

আজ বিগত

আজকে পৌষপার্বণ

আজকে আতশবাজির সলতায় আমার বাহ্যিদরজারও ন্যায় আগুন লেগেছে

প্রশ্ন হলো, কোথায় যাব?

কোথায় গেলে ফাটা যায়

আজকে

আমি ড্যাম্প? বণিকদের গুদামের পুরাতন বৎসরের?

আজকে আমি ন্যাপ নিচ্ছে ভলকেনো?

আজকে শীতও পড়েছে লড়াইয়ের মতো করে?

আজকে ঘৃণার তাপেও পা ছুটে না?

অপমানের তাপেও ফোটে না ভাত?

আজকে মায়া হয় না কোথাও?


০১.০১.২৪


মাথাটা নদীতে ভেসে যায়

জনশূন্য টলমলে সবুজ জল হয়ে

যে জল বওয়ার সময় শিনশিন শব্দ হয়

মহাশূন্যের পায়ে কতশত গোল হয়, হয়ে হয়ে

মাথাটা তারবিহীন যোগাযোগ শূন্যতায় বোকার মতো

অনেক ব্রন নিয়ে

রাতভোর চেয়ে থেকে থেকে থেকে

যেন অন্য কোনো জন্ম ভোগ করছে

যেন অন্য কোথাও তার নিথর হাত-পা বাঁধা।


মাটির সাথেও, হয়নি শেষ, শেষে মেশা অনেক বাকি

ব্যর্থ পাগল দশা মেনে নিতে হবে অনেকদিন আরো


২১.০৯.২৩





একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ